মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ নীতিমালা (AML নীতিমালা)
মানি লন্ডারিং হচ্ছে অবৈধ উৎস হতে অর্জিত অর্থকে নগদ অর্থে পরিণত করার মাধ্যমে বা আপাতদৃষ্টিতে বৈধ, এমন কোন খাতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে সেই অর্থকে বৈধ হিসেবে দেখানো।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক মানদণ্ডসমূহ ও গ্রাহকদের সম্পর্কে জানুন (KYC) নীতির লংঘন হয়েছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য CREX24 নিজস্ব কর্মপন্থা অবলম্বন করবে।
CREX24-এর গ্রাহকগণ একটি নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যান (তাদেরকে স্টেটের কাছ থেকে পাওয়া শনাক্তকরণ ডকুমেন্টগুলোর: পাসপোর্ট বা পরিচয়পত্র, একটি দিতে হয়)। CREX24 AML নীতিমালার উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গ্রাহক শনাক্তকরণ তথ্যাদি সংগ্রহের অধিকার সংরক্ষণ করে। এই তথ্যগুলো CREX24-এর গোপনীয়তার নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ করা হয়।
CREX24 গ্রাহকদের কাছ থেকে দ্বিতীয় আরেকটি শনাক্তকরণ ডকুমেন্ট চাইতে পারে, যা হতে পারে: বিগত 3 মাসের মধ্য পাওয়া ব্যাংকের স্টেটমেন্ট বা পরিষেবার বিল, যার মধ্য গ্রাহকের পূর্ণ নাম ও বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করা থাকতে হবে।
CREX24 গ্রাহকদের প্রদান করা ডকুমেন্ট ও তথ্যের সত্যতা যাচাই করবে এবং বিপদজনক বা সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত গ্রাহকদের কাছ থেকে আরো তথ্য চাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
যদি কোনো গ্রাহকের শনাক্তকরণ তথ্য পরিবর্তন করা হয়ে থাকে বা তাদের আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে হয়, তাহলে CREX24 গ্রাহকদের কাছে সাম্প্রতিক ডকুমেন্টসমূহ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করার অধিকার রাখে, এমনকি যদি গ্রাহক পূর্ববর্তী সময়ে সেটা করার অনুমতি পেয়েও থাকেন।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কর্মকর্তা মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন এবং অন্যান্য বেআইনি কার্যক্রম প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সংযুক্ত হওয়ার অধিকার রাখেন।
উপরের তালিকাটা সম্পূর্ণ নয়। লেনদেনগুলোকে সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচনা করে সেগুলো রিপোর্ট করবে কি না তা নির্ধারণ করার জন্য AML নীতিমালা পরিপালন কর্মকর্তা গ্রাহকের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে থাকেন।
আন্তর্জাতিক পূর্বশর্তগুলো মেনে CREX24 মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে ঝুঁকি ভিত্তিক কর্মপন্থা অবলম্বন করে থাকে। তাই মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ চিহ্নিত ঝুঁকির দিকে লক্ষ্য রেখে বাস্তবায়িত করা হয়ে থাকে, ফলে সম্পদের কার্যকর ব্যবহার সম্ভব হয়। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সম্পদের ব্যবহার করা হয়ে থাকে; সর্বাধিক ঝুঁকিসম্পন্ন বিষয়গুলোর দিকেই সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য রাখা হয়।